বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ
বাংলা গদ্যে প্রথম পর্যায়ে ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
- বাংলা গদ্যের প্রাথমিক প্রচেষ্টা- ১৭৪৩ সালে, লিসবন, পর্তুগাল।
- বাংলা গদ্যের প্রাথমিক প্রচেষ্টার লেখক– আন্তনিও রচিত ‘ ব্রাক্ষণ রোমান ক্যাথলিক সংবাদ’।
- বাংলা ভাষার প্রথম গদ্য লেখক– পাদ্রী মনোএল দ্যা আসসুম্পসাঁও, পর্তুগাল।
- পাদ্রী মনোএল দ্যা আসসুম্পসাঁও রোমান লিপিতে রচিত বইয়ের নাম— ‘ কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে পর্তুগাল রাজধানী লিসবন থেকে।
- মধ্যযুগ- আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে।
- বাংলা গদ্য কোন যুগের ভাষার নিদর্শন– আধুনিক যুগ।
- ফোট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়– ৪ মে ১৮০০ সালে।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়– ১৮০১ সালে। (২৬ তম বিসিএস)
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ চালু করার মূল উদ্দেশ্য– ব্রিটিশ অফিসারদের বাংলা শিক্ষা গ্রহণ।
- বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থের নাম– ‘কথোপকথন’ প্রকাশকাল ১৮০১ সাল রচয়িতা উইলিয়াম কেরি।
- ‘ইতিহাসমালা’ লেখক ছিলেন– উইলিয়াম কেরি।
- বাঙালি রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থের নাম– রামরাম বসু রচিত ‘ রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ প্রকাশকাল ১৮০১ সালে। (৩৬ তম বিসিএস)
- রামরাম বসুর রচিত অন্য গ্রন্থ– ‘লিপিমালা’ প্রকাশকাল ১৮০২ সাল।
- বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছে– ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
- কেরী সাহেবের মুন্সী বলা হয়– রামরাম বসু কে।
- বত্রিশ সিংহাসন এর রচয়িতা – মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার। (২৬ তম বিসিএস)
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ ছিলেন– উইলিয়াম কেরি।
- ফটো উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধান ছিলেন– উইলিয়াম কেরি।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ– ‘কথোপকথন’ রচয়িতা উইলিয়াম কেরি।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা ভাষায় চর্চা করতেন– রামরাম বসু।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়– মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
- মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রচিত গ্রন্থ সংখ্যা–০৫ টি।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এর অন্যতম কিছু লেখক এর নাম– মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রামরাম বসু, চণ্ডীচরণ মুনশী, গোলকনাথ শর্মা, হরপ্রসাদ রায়, তারিণীচরণ মিত্র, রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ বন্ধ হয়– ১৮৫৪ সালে।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ যুগে সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রচনা করেন– মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।
- ফোট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন– রামরাম বসু। (৩৮ তম বিসিএস)
শ্রীরামপুর মিশন ও হিন্দু কলেজ
- শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠা হয়– ১৮০০ সালে।
- শ্রীরামপুর মিশন ড্যানিশদের থেকে ইংরেজরা নিয়ে নেয়– ১৮০৮ সালে।
- বাংলায় বাইবেল অনুবাদ করে এদেশে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন– উইলিয়াম কেরি ও জোগুয়া মার্শম্যান।
- ১৮১৮সালে শ্রীরাম মিশন হতে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়–‘দিকদর্শন’ ও ‘সমাচার দর্পণ’।
- উপমহাদেশে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়– ১৪৯৮ সালে গোয়ায় (পর্তুগিজ ভাষায় মুদ্রণ যন্ত্র)।
- রংপুরে ‘ বার্তাবহ যন্ত্র’ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়– ১৮৪৭ সালে।
- বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা– ১৭৪৭ সাল, রংপুর।
- ঢাকায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়– ১৮৬০ সালে।
- ঢাকা প্রথম ছাপাখানার নাম ছিল– বাংলা প্রেস।
- ঢাকার প্রথম ছাপাখানা হতে বাংলাপ্রেস হতে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ– ‘নীলদর্পণ’ রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম গদ্যগ্রন্থ– ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’।
- বাংলা সাহিত্যে গদ্যের সূচনা হয়– উনিশ শতকে।
- বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে কোন প্রতিষ্ঠানের অবদান রয়েছে– ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
- বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থ– বীরবলের হালখাতা।
- বাংলা গদ্য কোন যুগের ভাষার নিদর্শন– আধুনিক যুগ।
- একুশে বইমেলা আয়োজক সংস্থাকে— বাংলা একাডেমি।
- ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত গ্রন্থের নাম– বাঙ্গালা ভাষার কথা।
- ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ এর লোকপালাসমূহের সংগ্রাহক কে– চন্দ্রকুমার দে।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ যেটি ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা– বাংলা সাহিত্যের কথা।
- মোঃ আব্দুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম– ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব।
- হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়– ১৮১৭ সালে।
- ইয়ং বেঙ্গল আত্মপ্রকাশ করে- ১৮৩১ সালে।
- ইয়ংবেঙ্গল ঘোষণা করেছিল– যুক্তি ও মানবাধিকারের দীপ্ত বাণী।
- ইয়ং বেঙ্গল এর মন্ত্রগুরু– হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।
- ইয়ংবেঙ্গল বলতে বোঝায়– ইংরেজি ভারতীয় বাঙালি যুবক
- ‘ইয়ং বেঙ্গল’ গোষ্ঠী মুখপাত্র রূপে পত্রিকা ছিল– জ্ঞানান্বেষণ (৩৬ তম বিসিএস)
- মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা ও সাল — আব্দুল লতিফ ও ১৮৬৩ সালে।
- মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল– মুসলমানদের জীবনের উন্নতি সাধন।
- মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ফল– সাহিত্যে মুসলমানরা প্রতিষ্ঠিত হবে সক্ষম অর্জন করে।
- বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠাতা ও সাল– ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও ১৯১১ সাল।
- বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমাজের পত্রিকা ছিল– বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা।
- বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখক ও ব্যক্তিবর্গ– ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কাজী এমদাদুল হক, মাওলানা আকরাম খাঁ, কমরেড মোশারফ আহমেদ প্রমুখ।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম গদ্যের সূচনা হয়– উনিশ শতকে। (২৮ তম বিসিএস)
- ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর অগ্রদূত ও প্রতিষ্ঠা সাল– কাজী আবদুল ওদুদ ও ১৯২৬ সাল। (২৪ তম বিসিএস)
- ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর মাধ্যমে সূত্রপাত হয়–‘ বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন।
- ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপাত্র ছিল– ‘শিখা’ পত্রিকা।
- ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর প্রধান লেখক– কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন প্রমুখ। (১৫ তম বিসিএস)
- ‘শিখা’ পত্রিকা প্রকাশিত সাল–১৯২৭।
- ‘শিখা’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন– আবুল হোসেন।
- ‘শিখা’ পত্রিকার স্লোগান ছিল– ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।
- এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাল– স্যার উইলিয়াম জোন্স ও ১৭৮৪ সাল।
- বাংলাপিডিয়া প্রকাশিত হয়– বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি সাহায্যে।
- বাংলাপিডিয়ার প্রথম সম্পাদক– অধ্যাপক ডক্টর সিরাজুল ইসলাম।
- বাংলাপিডিয়া প্রকাশিত হয়–২০০৩ সালে।
- বাংলাপিডিয়া প্রকাশিত খণ্ড–১৪টি।
- ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ এর লোকপালাসমূহের সংগ্রাহক– চন্দ্রকুমার দে। (৩৭ তম বিসিএস)
- বাংলা গদ্যের জনক– ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। (৩২ তম বিসিএস)
বাংলা একাডেমি
- বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়– ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ সালে।
- যে প্রেক্ষাপটে ‘বাংলা একাডেমি’ প্রতিষ্ঠিত হয়– ভাষা আন্দোলন।
- বাংলা ভাষা বিষয়ক বৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর নাম– বাংলা একাডেমি।
- বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি– মাওলানা আকরাম খাঁ।
- বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক– ডঃ মোঃ এনামুল হক
- বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক– ডক্টর মাজহারুল ইসলাম।
- বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা মহাপরিচালক– ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম।
- বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক– শামসুজ্জামান খান।
- বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি– অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান।
- বাংলা একাডেমির ভবনের পুরাতন নাম– বর্ধমান হাউজ।
- বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করেন– সাহিত্যে।
- বাংলা একাডেমির বিভাগ সমূহ– ৪টি
- যে আইনে বাংলা একাডেমি সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান মর্যাদা পায়– “The Bangali Academy Act-1957”.
- বাংলা একাডেমি শব্দের বানান `একাডেমী’ থেকে ‘একাডেমি’ জাতীয় সংসদে পাস হয়– ২০১৩ সালের ১৫সেপ্টেম্বর।
- বাংলা একাডেমির প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা–০৬ টি। যথাঃ
বাংলা গদ্যের অবিস্মরনীয় ব্যক্তিত্ব ও তাদের সাহিত্যকর্ম
0 Comments